বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। এর আগে ফ্রি ফেয়ার নির্বাচনের জন্য সকল সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।’
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে মেহেরপুর শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ওয়ার্ড সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। জামায়াতের পক্ষ থেকে ঐক্যমত কমিশনেও বলা হয়েছে সকল নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দিতে হবে। নির্বাচনের তারিখের জন্য জামায়াত কখনো ব্যস্ত ছিল না। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের নেতৃবৃন্দের বিচারের ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সরকারের ভেতরে ও বাইরে ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়েছে। তারা পোশাক পাল্টিয়ে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে ভারতীয় আধিপত্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, অর্থ পাচারকারীমুক্ত ও ফ্যাসিবাদমুক্ত। ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে হলে ইসলামী হুকুমতের কোনো বিকল্প নেই।’
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিমের সদস্য ডা: আলমগীর বিশ্বাস, কুষ্টিয়া জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল কাশেম ও জেলা কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল মজিদ।
এছাড়া জেলা নায়েবে আমির মাওলানা মহাবুব উল আলম, জেলা সেক্রেটারি মো: ইকবাল হুসাইন, বায়তুলমাল সেক্রেটারি জারজিস হুসাইন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন, দাওয়াহ বিভাগীয় সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল রানা, প্রচার সেক্রেটারি খাইরুল বাসার, যুব বিভাগীয় সেক্রেটারি সোহেল রানা ডলার ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জামায়াতের প্রতিটি জনশক্তিকে মাঠপর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশ এবং ইসলামী চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ঈমানী শক্তিকে মজবুতকরণ ও ব্যক্তিগত মান উন্নয়ন করার কথা জানিয়েছেন বক্তারা।