লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ কফিলউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের শেখপুর এলাকার মোরশেদ আলম, জয়নাল আবেদিন ও নওগাঁর আফসার উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন রশিদ। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আরো দুজন। তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে আনন্দ পরিবহনের বাসটি ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের দিকে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসটি চন্দ্রগঞ্জ কফিলউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনের সড়কে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর গাড়ির ভেতর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফয়েজুল আজীম নোমান জানান, বাসের বেপরোয়া গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: ফরিদ উদ্দিন বলেন, চন্দ্রগঞ্জে দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে।