সাম্প্রদায়িক শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে লংগদু জোনে আলোচনা সভা

আলোচনা সভায় বক্তারা পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

বিপ্লব ইসলাম, লংগদু (রাঙ্গামাটি)

Location :

Rangamati
সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের কর্মশালা
সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের কর্মশালা |নয়া দিগন্ত

রাঙ্গামাটির পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় জেলার লংগদু জোনে এ আলোচনা সভা হয়।

সভায় সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের জোন অধিনায়ক লেফট্যান্যান্ট কর্নেল মীর মোর্শেদ এসপিপি পিএসসির প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত ছিলেন। জোনের ভারপ্রাপ্ত উপ-অধিনায়ক মেজর রিফাত উদ্দীনসহ স্থানীয় পুলিশ, আনসার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং এ জোনের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়।

জোনের জোন কমান্ডারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড়ে উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সেনাবাহিনী সর্বদা স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। জোন অধিনায়ক বলেন কোনো ধরনের সহিংসতা মেনে নেয়া হবে না। আসন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা ও বৌদ্ধধর্মীয় কঠিন চিবরদান অনুষ্ঠানে সকলে নিজ নিজ ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে কোনো রকম বাধা-বিপত্তি বা কেউ ঝামেলা সৃষ্টি করলে কঠিনভাবে দমন করা হবে। সেনাবাহিনী দেশ এবং জাতীর কল্যাণে কাজ করে, কেউ দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করতে বাধ্য হবে।

জোন অধিনায়কের পক্ষ থেকে যেকোনো সহিংসতার ঘটনা শোনার সাথে সাথে দ্রুত স্থানীয় সেনাক্যাম্প বা জোনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী জননিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন।

উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সভায় এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে শান্তি রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সভায় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য ধরে রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।