রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) হুমায়ুন খালেদ ওরফে শিহাবের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর শালবাগান প্রফেসার পাড়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন হাসপাতালের কয়েকজন শেয়ারহোল্ডার।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন হাসপাতালের শেয়ারহোল্ডার শামিম আহমেদ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমিসহ ৬২ জন শেয়ারহোল্ডার রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১০০টি শেয়ারের মালিক। আমরা ২০১৮ সালে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে যৌথভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি চালু করি এবং পরে ২০২১ সালে হাসপাতাল ও এমআরআই সার্ভিস চালু করি।
প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই হুমায়ুন খালেদ ওরফে শিহাব এমডির দায়িত্বে রয়েছেন। দীর্ঘ ৮ বছরে তিনি কোনো হিসাব দেননি। বরং এই সময়ে এমডি শিহাব প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
শেয়ারহোল্ডারদের কোনো অনুমতি বা পরামর্শ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ এককভাবে পরিচালনা করছেন এমডি। বিগত বছরগুলোতে কোনও নিরীক্ষা (অডিট) সম্পন্ন করতে দেননি। শেয়ারহোল্ডাররা হিসাব চাইলে হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি সহ অস্ত্র প্রদর্শন করেন এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শামিম আহমেদ বলেন, এমডি শিহাব দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেন এবং রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও নগরীর চন্ডিপুরের শুটার রুবেলের সহযোগী ছিলেন। এছাড়া এর আগে রুবেলের নাম ভাঙিয়ে আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার ও ভয়ভীতি দেখান।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডাররা ৬টি দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- ৮ বছরের আয়-ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেয়া, স্বীকৃত অডিট ফার্ম দ্বারা প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষ অডিট সম্পন্ন করা, শেয়ারহোল্ডারদের হয়রানি বন্ধ করা, শিহাবের অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সম্পদের তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ; প্রতিষ্ঠানসহ শেয়ার হোল্ডারদের জানমালের নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ও শিহাবকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালে শেয়ারহোল্ডার হাফিজুর রহমান, আতাউর রহমান, আবু সাঈদ, মজিবর রহমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমডি হুমায়ুন খালেদ শিহাব সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিমাসে স্বাক্ষর করে শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ নিয়ে যান। তাদের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।