চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাসচাপায় অটোভ্যানচালকসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুজন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আলুকদিয়া বাজারের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামের কাছারিপাড়ার মরহুম রাজু আহমেদের স্ত্রী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পারভীনা খাতুন (৪৫) ও একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে পাখিভ্যানচালক রমজান (২৮)। আহতরা হলেন পারভীনার পুত্রবধূ আনিকা খাতুন (১৮) এবং আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ইসরাত জাহান (২৬)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে একটি পাখিভ্যান তিনজন যাত্রী নিয়ে আলুকদিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথে বাজারের অদূরে পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা মেহেরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পাখিভ্যানটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই যাত্রী পারভীনা খাতুনের মৃত্যু হয়। ভ্যানচালক রমজানসহ আরো তিনজন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক ভ্যানচালক রমজানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তবে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে নয়মাইল এলাকায় তার অবস্থার অবনতি হলে আবার জেলা সদর হাসপাতালে ফিরিয়ে আনেন। বিকেল ৪টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় উল্টে থাকা বাসের নিচ থেকে পারভীনের লাশ উদ্ধার করে এবং আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: আফরিনা ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনায় চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে পারভীনা খাতুনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। দু’জন আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ভ্যানচালক রমজানকে ফের হাসপাতালে আনা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান।



