পাইকগাছার কপিলমুনির ভরত চন্দ্র হাসপাতাল রক্ষায় মানববন্ধন

রোববার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী এ হাসপাতালটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ঠদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

শেখ দীন মাহমুদ, পাইকগাছা (খুলনা)

Location :

Paikgachha
পাইকগাছার কপিলমুনির ভরত চন্দ্র হাসপাতাল রক্ষায় মানববন্ধন
পাইকগাছার কপিলমুনির ভরত চন্দ্র হাসপাতাল রক্ষায় মানববন্ধন |নয়া দিগন্ত

খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনির ভরত চন্দ্র হাসপাতাল রক্ষার দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৬ জুলাই) সকালে হাসপাতালের সামনে আধুনিক কপিলমুনির রূপকার রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর প্রতিষ্ঠিত ভরত চন্দ্র হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত, জনবল বৃদ্ধি ও জনকল্যাণে দানকৃত হাসপাতালের সম্পত্তি দখলে নিতে স্থানীয় চিহ্নিত দুই ভূমিদস্যু মো: জয়নুদ্দীন গাজী ও গোপাল সাধুর হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এইচ এম শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পানি কমিটি ও বিএনপির কপিলমুনি ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি এম বুলবুল আহম্মেদ, উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মাওলানা আলতাপ হোসেন, স্থানীয় সাংবাদিক এস এম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, অনলাইন পোর্টাল দীপ্ত নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ দীন মাহমুদ, কপিলমুনি কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আ: হান্নান, বণিক সমিতির আহ্বায়ক শেখ আনারুল ইসলাম।

কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে মাওলানা বুলবুল আহম্মেদ, বিনোদস্মৃতি সংসদের সভাপতি দিপংকর সাহা, সাবেক প্রেস ক্লাবের সভাপতি হেদায়েত আলী টুকু, তপন পাল, মিন্টু অধিকারী, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, রামপ্রসাদ কর্মকার, শেখ খায়রুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, ফরিজুল ইসলামসহ সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার (পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, তালা) বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর তৎকালীন সময়ে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সহ এক্স-রে মেশিন স্থাপন করেন রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু। ওই সময়ে খুলনা সদর হাসপাতালেও উন্নত চিকিৎসার জন্য কোনো এক্স-রে মেশিন ছিল না। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিশেষ অনুরোধে ভরত চন্দ্র হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি সদর হাসপাতালে নিজ খরচে ভবন নির্মাণসহ প্রতিস্থাপন করা হয়, যা আজও দৃশ্যমান।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর প্রাথমিকভাবে এটি ভরত চন্দ্র দাতব্য চিকিৎসালয় এবং ভরত চন্দ্র হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে, ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার এটি জাতীয়করণ করে এবং ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তর করে। হাসপাতালটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু।

সর্বশেষ রোববার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী এ হাসপাতালটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ঠদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।