জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম হাওলাদার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে তার মেয়ে লামিয়াকে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে দাফন করা হয় লামিয়াকে।
এর আগে শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর শেখেরটেক ৬ নম্বর রোডে ভাড়া বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার লামিয়া আক্তার (১৭)।
ময়নাতদন্ত শেষে আজ সন্ধ্যায় লামিয়ার লাশ পটুয়াখালীর দুমকির পাঙ্গাশিয়া গ্রামে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন, দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো: ইজাজুল হক, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, এনসিপির মুখ্য সংগঠন (উত্তর অঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম ফাহিম, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ্ আল নাহিয়ান প্রমুখ।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহীদ জসীম উদ্দীনের মেয়ে লামিয়া তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিল। পথে নলদোয়ানী থেকে অভিযুক্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির বাগানে নিয়ে যায় সাকিব ও সিফাত। একপর্যায়ে লামিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এমনকি তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা।