সুযোগ পেলে জীবনের শেষ সময়গুলো জনগণের খেদমত করতে চাই : উবায়দুল্লাহ ফারুক

বৃহস্পতিবার সিলেট শহরে অবস্থানরত জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের আলেম-উলামা ও সুধীজনদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এমজেএইচ জামিল, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
বক্তব্য রাখেন মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক
বক্তব্য রাখেন মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক |নয়া দিগন্ত

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, ‘দেশের জনগণ একটি অস্থির সময় পার করছে। দীর্ঘ ২০ বছরের স্বৈরতন্ত্রের অবসান হলেও সামগ্রিক বিচারে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এখনো নিরাপদ নয়। এমতাবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সর্বক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনতার রায়ে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। সেই হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে জনগণের সমর্থন পেলে সিলেট-৫ আসনের সামগ্রিক উন্নয়ন ও বঞ্চিত জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবনের শেষ সময়গুলো উৎসর্গ করতে চাই।’

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিলেট শহরে অবস্থানরত জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের আলেম-উলামা ও সুধীজনদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘নাগরিক অধিকার সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে একটি আদর্শ-শান্তিপূর্ণ ও নাগরিক অধিকার সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করতে চাই। একইসাথে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মাবলম্বী সবার উন্মুক্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ কানাইঘাটের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।’

আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শায়খে লক্ষিপুরীর সভাপতিত্বে এবং মাওলানা আবুল হোসাইন চতুলী ও মাওলানা রায়হান উদ্দিনের পরিচালনায় সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ এম এ মতীন চৌধুরী, উইমেন্স মডেল কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল ওয়াদুদ বাবলু, আব্দুল আজিজ হারুন চেয়ারম্যান, সাবেক এডিসি ইয়াহিয়া আহমেদ, আল মানার হাসপাতালের ডিরেক্টর জয়নুল আবেদীন, শিক্ষাবিদ আবুল খায়ের, ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা শামসুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা জামাল উদ্দিন, সাইফুল্লাহ খালেদ ও ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমদ।

এ সময় সিলেট দরগাহ মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা সালেহ আহমদ জকিগঞ্জী, পীরে কামিল মাওলানা শফিকুল হক সুরইগাটী, খতিব উবায়দুল হক সাহেবের ছেলে মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী, আজাদ দ্বীনি এদারার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা ইউসুফ খাদিমানী, মুফতি সিদ্দিক আহমদ চিশতি, জমিয়তের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মুফতি সিদ্দিক আহমেদ চিশতি, মাওলানা ক্বারি হারুনুর রশিদ, মুফতি এবাদুর রহমান, মাওলানা নুর আহমদ ক্বাসিমী, মাওলানা সদরুল আমিন, মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা আব্দুর রহমান নাদিম, মাওলানা খলীলুল্লাহ মাহবুব, মাওলানা শামীম আহমদ, হাফিজ জামিল আহমদ ও আবু হানিফ সাদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।