সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৮ পরিবারের ১১টি ঘর পুড়ে ছাই

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮টি পরিবারের ১১টি ঘর মালামালসহ সম্পূর্ণরুপে পুড়ে ছাই হয়েছে।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা

Location :

Saidpur
সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৮ পরিবারের ১১টি ঘর পুড়ে ছাই
সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৮ পরিবারের ১১টি ঘর পুড়ে ছাই |নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮টি পরিবারের ১১টি ঘর মালামালসহ সম্পূর্ণরুপে পুড়ে ছাই হয়েছে। এছাড়াও আরও ৫টি পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১২টায় উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সাতপাই ছোট দেড়ানী গ্রামে।

জানা যায়, আগুনের থাবায় ওই গ্রামের মরহুম আব্দুলের ছেলে আইয়ুব আলী ও তার তিন ছেলে সাজু মিয়া, সবুজ ও বুলবুলের ৬টি ঘর, মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আলী আজম মিন্টুর ৩টি ঘর, মুত আফসার আলীর ছেলে হযরতের ২ টি ঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। এসব ঘরের কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, ধান-চাল, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কাপড় সবই ছাই হয়ে গেছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আলী আজম মিন্টুর। কারণ তিনি সৈয়দপুর শহরে থাকেন। বাড়ি তালা দেয়া ছিল। তাই ৩টি ঘরের কোন কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একইভাবে আইয়ুব আলীর ছেলে সাজু মিয়ার আয়ের উৎস্য একটি অটোগাড়ীসহ ঘরের সকল মালামাল পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে আইয়ুব আলী ও তার অন্য দুই ছেলের প্রায় আরও ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

অন্যদিকে হযরত আলীর ২টি ঘরসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আর আগুন নেভানোর সময় আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মরহুম আব্দুলের ছেলে তৈয়ব আলী, সোলেমান আলীর ও তার ছেলে মশিউর রহমান, রবিউল ইসলাম এবং মোসলেম। এদেরও সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে একাধিক কথা শোনা গেছে। কারও মতে রান্নার চুলা থেকে আবার কেউ বলছেন অটো চার্জ দেয়ার সময় শর্ট সার্কিট থেকে আবার কেউ কেউ বলছেন ক্ষতিগ্রস্থ দুইটি পরিবারের মাঝে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও স্বল্প সময়েই লেলিহান শিখায় পুড়ে উল্লেখিত ক্ষতি সম্পন্ন হয়েছে।

ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়া পরিবারের প্রায় ৩৫ জন সদস্য মাথা গোঁজার ঠাই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ও নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান লানছু হাসান চৌধুরির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন থেকে শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় পোশাকের বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।