ভোলার লালমোহন উপজেলার মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাটের যাত্রী টোল পাঁচ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নেয়া হচ্ছে। মুঠোফোনে এ অনিয়মের ভিডিও ধারণ করায় লালমোহন উপজেলার নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি এম আর পারভেজের হাতের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন ঘাটের ইজারা আদায়কারী আকতার ও ফিরোজ নামের দুই ব্যক্তি। এ সময় তারা ওই সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচরণও করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৫ জুন) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক এম আর পারভেজ জানান, আমার অসুস্থ ভাগনিকে ঢাকাতে ডাক্তার দেখানোর জন্য এগিয়ে দিতে মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাটে যাই। সেখানে ঘাট ইজারাদারের লোকজন ঘাট টোল পাঁচ টাকার যায়গায় ১০ টাকা নিচ্ছে। আমি তাদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পাঁচ টাকার স্থলে ১০ টাকা কেন নিচ্ছেন জিজ্ঞাসা করলে তারা আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। এরপর আমি বাইরে এসে ভিডিও করা শুরু করলে তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে আমার কাছে আসে এবং আকতার ও ফিরোজ আমার মোবাইল সেট কেড়ে নেয়। আমি আমার মোবাইল সেট ফেরত দিতে বললে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারতে আসে।
একপর্যায়ে আমি লালমোহন থানার ওসিকে মোবাইলে ঘটনা জানালে পুলিশ আসলে তখন ওখানকার যুবদলের নেতা সোহাগ ও ইমাম পুলিশসহ আমাকে নিয়ে বসে এবং মোবাইল সেট ফেরত দেয়। তবে আমার মোবাইলে থাকা তাদের অনিয়মের ভিডিও ও ছবিগুলো তারা ডিলেট করে দেয়।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে মঙ্গলসিকদার ফাড়ির ইনচার্জসহ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মোবাইল সেট ফেরত দিয়েছে ইজারাদারের লোকজন। সাংবাদিক অভিযোগ প্রদান করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহ আজিজ বলেন, ‘এর আগে এ অনিয়মের ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। ঈদের পর আমি সেখানে গিয়েছি এবং তখন আমি কোনো অনিয়ম পাইনি। ইজারাদারের লোকজন আমাদের আগোচরে অনিয়ম করে থাকে। আজকের ব্যাপারটা বিআইডব্লিউকে জানানো হবে যাতে তারা আইনআনুগ ব্যবস্থা নেয়।’