বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সমাজকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে পারলেই ধর্মীয় বিভেদ ও বিভাজন হবে না। তাতে সব ধর্মের মানুষ সুখে-শান্তিতে একসাথে বসবাস করতে পারবে। অতীতে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টানসহ সবাই মিলেমিশে একে অপরের ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সাথে উদযাপন করত। কিন্তু আওয়ামী আমলে রাজনৈতিক কারণে সমাজে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগই ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই তারা বিরোধী মতের মানুষদের দমন-পীড়ন, গুম, খুন, নির্যাতন চালিয়েছে এবং সিরাজগঞ্জের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘর দখল করেছে।’
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জের এসএস রোডের মওলানা ভাসানী কলেজের সামনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘২৪ জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরপরই আমি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশ্বস্ত করেছি, আপনারা নির্ভয়ে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন। আপনাদের কেউ আঘাত করলে তা আমার আত্মায় আঘাত হানে। আমার স্বপ্ন সিরাজগঞ্জকে রেইনবো শহরে পরিণত করা, যেখানে সাত রঙের মানুষের সহাবস্থান হবে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কল্যাণ সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: সাইদুর রহমান বাচ্চু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস।
শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সমাজসেবক শ্রী সত্য নারায়ণ সারদা। এতে স্থানীয় নেতা ও গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।