জামালপুরে আদালতের নির্দেশে স্থানীয় দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক জঙ্গির লাশ আট মাস পর কবর উত্তোলন করেছে পিবিআই।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলার মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কাঠপাড়া এলাকায় পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পিবিআই জামালপুরের এসআই মোশারফ হোসেন বলেন উত্তোলনের পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় দুই ইজিবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গি (৭৫)।
পরে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান প্রবীণ এই সাংবাদিক। পরদিন তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী সাংবাদিক দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা জামালপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
মামলায় আসামি করা হয় নিহতের প্রথম স্ত্রী খায়রুন্নেছা কাজলী, জামাতা জুলহাস উদ্দিন, মেয়ে জেবুন্নেছা কাকলী, জিনাতুননেছা কণা এবং পত্রিকার অফিস স্টাফ দেলোয়ার হোসেনকে।
পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তের জন্য পিবিআই জামালপুরকে দায়িত্ব দেন আদালত।
তদন্তের স্বার্থে সংস্থাটি গত ১ জুলাই আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন জানায়।
আদালতের অনুমতি পেয়ে সোমবার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
পিবিআই জামালপুরের পরিদর্শক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গির লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’