চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স বৃহস্পতিবার আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মো: আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ মোস্তফা ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।
তাছাড়া সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো: সালাউদ্দিন, পিবিআই’র পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম মেট্রো) মো: রহুল কবির খান, সিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার (ডিবি উত্তর) মো: মোস্তফা কামাল, সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কেশব চক্রবর্তী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি সাকিব শাহরিয়ার, চমেক পরিচালকের প্রতিনিধি জুনায়েদ আহমেদ, ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার খালেদ হাসান, কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের লেফটেন্যান্ট আবরার তাজওয়ার, সিনিয়র জেল সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, র্যাবের প্রতিনিধি, শিল্প পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিধি, নৌ পুলিশ প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ চট্টগ্রাম মহনগর এলাকার ১৬ থানার অফিসার ইন-চার্জবৃন্দ ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ পরিদর্শকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরোও উপস্থিত ছিলেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো: মফিজুল হক ভূইয়া, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন।
কনফারেন্সের শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বিচারাধীন মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত ফৌজদারী কার্যবিধি মোতাবেক মেমোরেন্ডাম অফ এরেস্ট কঠোরভাবে প্রতিপালন করার নির্দেশ প্রদান করেন। নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় এর উপর গুরুত্বারোপ করেন সিএমএম কাজী মিজানুর রহমান।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট থানার অফিসার ইনচার্জদের তদন্তকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সচেতন হতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দ্রুত ও দক্ষতার সাথে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালনের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
কনফারেন্সে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে পূর্বের চেয়ে দ্রুত গতিতে মেডিক্যাল সনদ প্রদানের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধি ডাক্তার জুনায়েদ আহমেদ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার সভায় জানান যে, গত ১০ মাসে ৫৩২ জন আসামিকে প্রবেশন প্রদান করা হয়েছে। মামলার আলামত নিলামের মাধ্যমে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে একযোগে ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিচার প্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। বিচারপ্রার্থীর অধিকার নিশ্চিতে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে মামলা নিষ্পত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।