মুন্সীগঞ্জে ১৪ বছর আগের হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন উর্মি এ রায় ঘোষণা করেন।

আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ

Location :

Munshiganj
নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৪ বছর আগে কচুরিপানার ভেতর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলার সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে লাশ গুম করার অপরাধে প্রত্যেককে পৃথক ধারায় সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন উর্মি এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আলেয়া বেগম ওরফে আলো বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ছয় আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর সদর উপজেলার আকালমেঘ পলাশপুর গ্রামের ওয়ালিদ বেপারী (৩৮) বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পাঁচ দিন পর দক্ষিণ চরবেশনাল এলাকার ডোবায় কচুরিপানার ভেতর থেকে তার পঁচাগলা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় নিহতের মা হাফেজা খাতুন মুন্সীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

পরবর্তী সময়ে পুলিশ বিশেষ অভিযানে এক আসামিকে আটক করলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। মামলার নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালত সাত আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।