সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেছেন, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মানুষ গত ১৭ বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার। উন্নয়নের নামে সরকারি সম্পদ লুটপাট, অবকাঠামোগত অনিয়ম ও বৈষম্যমূলক নীতির কারণে এই অঞ্চলের মানুষ আজও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
তিনি বলেছেন, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও কর্মসংস্থান ভয়াবহ অবহেলার শিকার হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের রাষ্ট্রের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ-পরবর্তী গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, সবার আগে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মসংস্থানমুখী শিল্পায়ন, স্বাস্থ্যসেবায় আধুনিক সুবিধা এবং প্রবাসী-নির্ভর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে টেকসই ও যুগোপযোগী উন্নয়নই আমার একমাত্র লক্ষ্য। স্থানীয় সম্পদ ও মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারকে একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চলে পরিণত করাই আমার অঙ্গীকার। বিএনপি জনগণের দল। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা উন্নয়ন বঞ্চনার এই অধ্যায় থেকে বের হয়ে আসব। তাই গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারকে উন্নয়নের মূল স্রোতে যুক্ত করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি জাতিকে একটি নতুন দিগন্তের পথে এগিয়ে নেবে। এই কর্মসূচি শুধু ক্ষমতার রূপরেখা নয় বরং রাষ্ট্রের সার্বিক সংস্কার ও জনগণের মুক্তির অঙ্গীকার। ৩১ দফা কর্মসূচিই বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির সনদ। আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির নেতৃত্বে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সংগ্রামে কাজ করি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেশকে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বেই একটি আধুনিক, সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ বিজয়ী হলে এবং বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন হবে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিএনপিকে ভোট দিলে এই অঞ্চলের উন্নয়ন হবে জাতীয় উন্নয়নের মডেল।
গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মুশফিকুর রহমান মহির সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মহিউস সুন্না নার্জিস, যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা বিএনপির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম রেকল, ৩ নম্বর ফুলবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান আতা, সাধারণ সম্পাদক এম মামুন, বাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম কলিম, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আহমদ, সহ-সভাপতি সাহেল আহমদ, চারখাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মুক্তাদির আলী, সহ-সভাপতি আছাই উদ্দিন, মঈন উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল আহমদ, প্রচার সম্পাদক জিলাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা যুবদলের সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাবের আহমদ, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল ইসলাম গেদাই, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন দিলাল, গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল সাবু, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিলাদ আহমদ প্রমুখ।