ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও নবীনগর সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারজানা আক্তার জুঁই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে কলেজের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল জুঁই হত্যার বিচার দাবিতে লেখা বিভিন্ন প্লে-কার্ড।
সমাবেশে শিক্ষার্থী ফাহাদ, মুক্তা আক্তার, মরিয়ম আক্তারসহ অনেকে বলেন, ‘হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
তারা আরো বলেন, ‘আজ আমরা শিক্ষার্থীরা ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
কলেজের অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘জুঁই ছিল শান্ত স্বভাবের মেয়ে, তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিল। যারা এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সর্বোচ্চ বিচার চাই।’
জুঁইয়ের বাবা আবু হাসনাত রানা জানান, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মেয়ের লাশ উদ্ধারের পর নবীনগর থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোরে লাউর গ্রামের নিজ ঘর থেকে নিখোঁজ হন ফারজানা আক্তার জুঁই। নিখোঁজ হওয়ার পর দুই দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর শনিবার বাড়ির পাশের পুকুরে কচুরিপানা সংগ্রহ করতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি একটি ভাসমান লাশ দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ সেখানে জড়ো হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিশ্চিত হয়, এটি নিখোঁজ জুঁইয়ের লাশ।