চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধে আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রতিমা ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে মানববন্ধন করেছে ব্রজলাল দেবনাথ গংরা। এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে ফাঁসানো এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মানববন্ধন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (৪ অক্টোবর) মতলব বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শরীফ উল্লার ছোট ভাই আরিফ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর পৌরসভার উত্তর বারিগাঁও গ্রামের বারীগাঁও মৌজার ৬২৯ নম্বর খতিয়ানে ৩ নম্বর দাগে ওই গ্রামের ব্রজলাল ও দুলাল দেবনাথের কাছ থেকে সম্প্রতি ঘিলাতলী গ্রামের আমার মামা দেলোয়ার হোসেন তাদের কাছ থেকে ওই দাগের সাড়ে ৪ শতাংশ জায়গা কিনেন। পরবর্তী সময়ে আমার বড় ভাই শরীফ উল্লাহ আমার মামার কাছ থেকে ওই সাড়ে ৪ শতাংশ জায়গা কিনে নেন। পরে খরিদ করা সেই ৪ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৩ শতাংশে একটি সেমিপাকা ঘর উত্তোলন করা হয়। অবশিষ্ট দেড় শতাংশ জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করতে গেলে ব্রজলাল ও দুলাল চন্দ্র দেবনাথ বাধা দেন এবং তারা নিজেরাই বিক্রয় করা জায়গার মধ্যে বালু ভরাট করার চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পরে জায়গার খরিদকৃত মালিক আমার ভাই উপায়ন্তর না পেয়ে চাঁদপুর আদালতে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আদালত ওই জায়গার উপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। একইসাথে মতলব দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষ ব্রজলাল ও দুলাল চন্দ্র দেবনাথ গংরা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে প্রতিমা ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য বহিরাগত লোকজন দিয়ে মানববন্ধন করেন। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে এসে প্রতিমা ভাঙচুরের কোনো সত্যতা পায়নি। আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা এবং বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও গুজব ছড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।