টঙ্গীবাড়ীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল–বানারী ইউনিয়নে জমি দখলের বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের চেষ্টা করেছে একটি প্রভাবশালী মহল।

আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ

Location :

Munshiganj
টঙ্গীবাড়ীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর
টঙ্গীবাড়ীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর |নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল–বানারী ইউনিয়নে জমি দখলের বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের চেষ্টা করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দরজা–জানালাসহ ভাঙা অংশ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী মালিগাঁও গ্রামের মরহুম দুলাল মৃধার ছেলে তানজিল ও তানভীরের নেতৃত্বে কার্যালয়টি ভাঙচুর করা হয়। তাদের দাবি—কার্যালয়টি তাদের জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙচুর বন্ধ করেন এবং মালিকানার কাগজপত্র নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাবি আদায়ের পরামর্শ দেন।

এলাকাবাসীর বক্তব্য, আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি সরকারি খাসজমিতে স্থাপিত। মালিকানা দাবি করা ব্যক্তিদের আগে কখনো এলাকায় দেখা যায়নি, ফলে হঠাৎ করে ভাঙচুর শুরু করায় তারা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।

অভিযুক্ত তানজিল বলেন, ‘আমাদের জমিতে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ করেছে। আমরা আমাদের জমি উদ্ধার করতে গেছি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে জানানোর প্রয়োজন নেই।’

হাসাইল–বানারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ জামান এপোলো বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি এক পক্ষ মালিকানা দাবি করে কার্যালয় ভাঙছে। ভাঙচুর চলতে থাকলে দায় বিএনপির ওপর দেয়া হতে পারে—এজন্য আমরা তাৎক্ষণিক ভাঙচুর বন্ধ করেছি। যার মালিকানা, সে আইনগত পথেই প্রমাণ করুক।’

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নুরুজ্জামান দেওয়ান জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর চলছে। আমি তাদের থামিয়ে বলেছি—জমির মালিকানা যাচাই করে পরে সিদ্ধান্ত হবে।’

টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মো: সাইফুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’