সীতাকুণ্ডে জামায়াতের সভায় সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ ২, আহত ১০

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জামায়াতের সভায় স্থানীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় দুইজন গুলিবিদ্ধ ও ১০ জন আহত হয়েছেন।

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

Location :

Sitakunda
নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জামায়াতের নেতা শহিদুল ইসলামের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইউনিয়ন জামায়াতের প্রতিবাদ সভায় স্থানীয় ২০-৩০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সমাবেশ অতর্কিত গুলি ছুঁড়ে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধ ও ১০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে জঙ্গল সলিমপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এসএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও জামায়াতের নেতা শহিদুল ইসলামের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা আজ শুক্রবার বিকেলে জঙ্গল সলিমপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। জুমার নামাজের পরে জামায়াতের নেতারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। এ সময় স্থানীয় ২০-৩০ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সমাবেশ উপস্থিত হয়ে অতর্কিত গুলি ছুঁড়ে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী, আব্দুস সালাম।

হামলায় সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলীসহ ১০ জনের অধিক আহত হয়েছেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ জামায়াতের ৭/৮ জন নেতাকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

সীতাকুন্ড উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুবউদ্দিন শিবলী বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুর এস এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে গত বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবাদ সভায় উপজেলা ও স্থানীয় জামায়াত নেতারা সমবেত হলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সভা পন্ড করে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে দুই জামায়াত নেতাসহ ১০ জনের অধিক জামায়াত নেতা গুরুতর আহত হযেছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।’

ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: সোহেল রানা বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত আলাদাভাবে প্রোগ্রাম করছিল। এ সময় বিএনপি সমর্থিত কিছু লোক এসে সভায় অতর্কিত হামলা করে। এতে জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহতদের কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।