চট্টগ্রামের হালদা নদীর প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী হাটহাজারীর হালদা পাড়ের গড়দুয়ারার কামাল উদ্দীন সওদাগর পেলেন জাতীয় মৎস্য পদক-২০২৫। প্রান্তিক চাষি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জাতীয় এ পদক অর্জন করেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা পদক দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস কামাল উদ্দিন সওদাগরের হাতে পদক ও সনদ তুলে দেন।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জেল হোসেন এবং মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুর রউফ উপস্থিত ছিলেন।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, ‘এই পুরস্কার শুধু আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি হালদার প্রতিটি ডিম সংগ্রহকারী ভাইয়েরই সম্মিলিত স্বীকৃতি’।
এদিকে জাতীয় মৎস্য পদক প্রাপ্তির পর কামাল উদ্দিন সওদাগরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশিষ্ট প্রাণী বিজ্ঞানী ও হালদা গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলী আজাদী, হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর ড. মো: মনজুরুল কিবরীয়া,হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, হাটহাজারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাশার, হালদা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন, নদী পরিব্রাজক দল চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি এস এম খোরশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো: মুজিবুল হক,হালদা ডিম সংগ্রহকারী সমবায় সমিতির সভাপতি মো: শফিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
গবেষক ও পরিবেশকর্মীরা স্থানীয়ভাবে কামাল উদ্দিন সওদাগরের এ অর্জনকে দেখছেন হালদা নদীর ডিম সংগ্রহকারী সম্প্রদায়ের সম্মিলিত সাফল্যের অংশ হিসেবে।
তাদের মতে, হালদা নদীকে ঘিরে রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়া টিকিয়ে রাখতে এই সম্প্রদায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা এক অনন্য উদাহরণ।
উল্লেখ্য, এ বছর মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয়ভাবে নয়জনকে স্বর্ণ, পাঁচজনকে রূপ্য ও দু’জনকে ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হয়।