রাঙ্গামাটিতে শেষ হলো দুই দিনের কঠিন চীবর দানোৎসব

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘণ্টায় তৈরিকৃত চীবর রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে উৎসর্গ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।

পুলক চক্রবর্তী, রাঙ্গামাটি

Location :

Rangamati
রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত হয় কঠিন চীবর দানোৎসব
রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত হয় কঠিন চীবর দানোৎসব |নয়া দিগন্ত

রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর উৎসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘণ্টায় তৈরিকৃত চীবর রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে উৎসর্গ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।

শান্তি ও মৈত্রীর বার্তা ছড়িয়ে দিতে আয়োজিত এই উৎসবের এবারের ৪৯তম পর্বে অংশ নেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সচিব কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, রাজবন বিহারের কার্যনির্বাহী পরিষদেরসহ সভাপতি নিরূপা দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসাসহ দেশি-বিদেশি পুণ্যার্থীরা।

অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। তিনি বলেন, দুঃখ ও গ্লানিমুক্ত মানবিক সমাজ গড়তে একে অপরকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। এর আগে পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কল্পতরু দান, বিশ্বশান্তি প্যাগোডার অর্থ দান, হাজার প্রদীপ দান অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসব শেষে রাতে ফানুস উড়িয়ে শান্তি কামনায় সমাপ্তি ঘটে এই বছরের কঠিন চীবর দানোৎসব।

বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। প্রাচীন নিয়মানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সুতা কেটে, সুতা রঙ করে তা আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে এর নাম কঠিন চীবর দান।

১৯৭৬ সাল থেকে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে চীবর দান হয়ে আসছে। এ উৎসবে যোগ দিতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায় রাজবন বিহারে।