আরিফুল হক মাহবুব, কাউখালী (রাঙ্গামাটি)
রাঙ্গামাটি কাউখালীর রাঙ্গীপাড়া নামক দূর্গম পাহাড়ে মালামাল বিক্রি করতে গিয়ে দু’দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সহিদ খাঁ (৩৭) নামে এক ফেরিওয়ালা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সদর হয়ে পাহাড়ের ভেতরে প্রবেশ করার পর আর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ সহিদ খাঁ রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট বস্তিতে ভাড়া করা বাসায় থাকেন এবং কাউখালীসহ আশপাশের এলাকায় ফেরিতে মালামাল বিক্রি করেন।
নিখোঁজের ফুফাতো ভাই সুমন জানান, শুক্রবার সকালে তিনি বাসা থেকে মালামাল নিয়ে কাউখালী যান। সেখান থেকে দূর্গম উল্টা রাঙ্গীপাড়া এলাকায় ঢুকেন। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি তিনি। এদিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের (০১৬১৬-২৩৩৮৪৩) নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
সহিদের সহপাঠী ফেরিওয়ালা সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাউখালীর দূর্গম পাহাড়ি এলাকা পানছড়ি ও উল্টা রাঙ্গীপাড়া এলাকায় ফেরিতে বাচ্চাদের খেলনাসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করেন। ১৯ ডিসেম্বর তিনি উল্টা রাঙ্গীপাড়া এলাকায় যাবেন বলে আমাকে জানিয়ে ছিলেন।
তিনি আরো জানান, গত দেড় বছর আগে সহিদ কাউখালীর পানছড়ি এলাকায় মালামাল বিক্রয় করতে প্রবেশ করলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য তাকে আটক করে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। পানছড়ি, তালুকদার পাড়া ও উল্টা রাঙ্গীপাড়া এলাকাসহ কাউখালীর উত্তরাঞ্চল মূলত চুক্তিবিরোধী ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে তাকে চাঁদার জন্য আটকে রেখেছে সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা।
এদিকে শনিবার তার নিখোঁজের বিষয়ে ফুপাতো ভাই সুমন কাউখালী থানায় জিডি করতে যান। কিন্তু তার বাসা রাঙ্গুনিয়া থানার আওতাধীন হওয়ায় কাউখালী থানা রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলার পরামর্শ দেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার পরিবার রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কাউখালী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেক জানান, তিনি যেহেতু রাঙ্গুনিয়ার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছেন সেহেতু জিডি রাঙ্গুনিয়া থানায় করার জন্য পাঠানো হয়েছে।



