পাবনা-ঢাকা রুটে ট্রেন চালুর আশ্বাস রেল সচিবের

ভারত থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০ কোচ আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ডিজাইন চূড়ান্ত হয়েছে, এ বছরের শেষে ২০টি এবং আগামী বছরের মার্চে আরো ২০টি কোচ আসবে।

মো: নূরুল ইসলাম, চাটমোহর (পাবনা)

Location :

Pabna
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম |নয়া দিগন্ত

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, তবে খুব তাড়াতাড়ি না। তবে যত দ্রুত সম্ভব, পাবনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি ট্রেন আগে দেবো।’

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানা এবং ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি লোকসানি খাত। দুই টাকা নয় পয়সা খরচ করে এক টাকা আয় করে রেল। তবে রেলওয়ে একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, তাই সরকার মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীবাহী ট্রেন বেশিভাগই দেশেই লাভজনক নয়, রেলওয়ের রাজস্ব আসে মূলত কনটেইনার ও মালবাহী ট্রেন থেকে। বর্তমানে শ্রমিক সংকট, কোচ ও লোকোমোটিভ স্বল্পতা রয়েছে, তবে সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।

রেল সচিব জানান, ভারত থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০ কোচ আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ডিজাইন চূড়ান্ত হয়েছে, এ বছরের শেষে ২০টি এবং আগামী বছরের মার্চে আরো ২০টি কোচ আসবে। প্রতি মাসে কোচ আসবে। একটি ট্রেন চালাতে কমপক্ষে সাতটি কোচ প্রয়োজন। কোচ এলেই পাবনা-ঢাকা রুটে ট্রেন চালু করা হবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈশ্বরদীর মাঝগ্রাম থেকে ঢালারচর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণকালে রাজবাড়ীকে ওয়াই সেতু দিয়ে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু নির্মাণ খরচ কার্যকর না হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। এখন পরিকল্পনা হলো ঢালারচর থেকে পাচুরিয়া-রাজবাড়ী হয়ে পদ্মা ব্রিজে কানেক্ট করা। এজন্য একটি বড় ব্রিজ নির্মাণ করে মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকার সাথে সংযোগ দেয়া হবে। আমিন বাজার থেকে মেট্রো সংযোগও যুক্ত করা হবে। ঢাকার চারপাশের জেলা শহরের মধ্যে শুধুমাত্র মানিকগঞ্জের সাথে রেল সংযোগ নেই, যা অত্যন্ত জরুরি।

পরিদর্শনকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস, প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ হোসেন মাসুম, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক লিয়াকত শরীফ খান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট মোহাম্মদ রেজওয়ান উর রহমান, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা গৌতম কুমার কুণ্ডু, সেতু প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী এমএম রাজিব বিল্লাহ, বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ আব্দুল হানিফ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ নাজিব কায়সার, যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) ময়েন উদ্দিন সরদার, যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সচিব ফাহিমুল ইসলাম পাবনা শহর থেকে সড়কপথে ঈশ্বরদীর লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানায় পৌঁছালে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি লোকোসেড, ক্যারেজ ডিপো ও ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন পরিদর্শন শেষে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সদর দফতরে যান। সেখানে অফিসার্স ভিআইপি রেস্টহাউজে মধ্যাহ্নভোজ শেষে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।