গাজীপুর-৬ আসন নিয়ে আপিল বিভাগের নির্ধারিত শুনানি আজ রোববার অনুষ্ঠিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সালাহউদ্দিন সরকার।
তিনি জানান, আগামী ১৮ নভেম্বর আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে বহু প্রতীক্ষিত এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আপিল বিভাগের রায়ে নবসৃষ্ট গাজীপুর-৬ আসন বহাল থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত ১০ নভেম্বর বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গেজেট বাতিল ঘোষণা করে। রায়ে বিলুপ্ত বাগেরহাট-৪ আসন পুনর্বহাল এবং নবসৃষ্ট গাজীপুর-৬ আসন বাতিল হয়। এতে বাগেরহাটে আগের মতো চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি আসনই বহাল থাকে।
হাইকোর্টের এ রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচন কমিশন ও গাজীপুরের জনপ্রতিনিধিরা গত ১২ নভেম্বর চেম্বার আদালতে আপিল করেন। চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন এবং পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রোববার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। তবে নির্ধারিত ওই শুনানি আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন দেশের ৩৯টি আসনের সীমানা পুনঃবিন্যাস করে। এতে বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়। কিন্তু রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট ইসির এ গেজেটকে অবৈধ ঘোষণা করে।
এদিকে হাইকোর্টের এ রায় নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সংসদীয় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আদালতের প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার নেই। সংবিধানের ১১৯ (গ), ১২৪ ও ১২৫ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচন কমিশনের।‘
তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধানের ১২৫ (ক) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। অর্থাৎ কমিশনের এখতিয়ার নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ সাংবিধানিক নয়।‘
তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি আসন বহাল রেখে আদালত এক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আরেক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব চাপিয়ে দিয়েছে, যা বিচার বিভাগের অতিসক্রিয়তার উদাহরণ। এতে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।’



