খাগড়াছড়িতে স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহৃত আল রাফি (১১) নামের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১) সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, সেনাবাহিনী আটক দু’অপহরণকারীকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনিপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খাগড়াছড়ি সদরের মোহাম্মদপুর এলাকার আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া (২৮) ও পানছড়ি উপজেলার ইটখোলা গ্রামের হানিফ হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান (২৩)। তবে ঘটনার সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী আ: মালেক মিয়া (মালু) এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া রাফি খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে দীঘিনালার হাচিনসনপুরের মিঠু মিয়ার ছেলে। রাফি জেলা সদরের আনন্দনগর এলাকায় (বলপিয়ে আদাম) সেনা সদস্য খালুর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে।
সূত্র জানায়, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে জেলা সদরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে রাফিকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা। অপহরণের পর পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করলে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে খাগড়াছড়ি জোন অপহরণ হওয়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। তারই ভিত্তিতে পানছড়ি আর্মি ক্যাম্পের একটি টহল দল সাড়ে ৫টার দিকে পানছড়ি মোল্লাপাড়া সেতুর কাছের এলাকা থেকে রাফিকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী বাদশা মিয়াকে আটক করে। পরে বাদশার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পানছড়ি বাজার থেকে অপহরণকারী কামরুল হাসানকে আটক করা হয়। রাতে আটক অপহরণকারীদের খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।