গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মকস বিলে শুক্রবারের নৌকাডুবির ঘটনায় আরেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিখোঁজ তিনজনেরই লাশ উদ্ধার হলো।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে উদ্ধার করা লাশটি মেহেদী হাসানের (১৮)।
এর আগে শনিবার সকালে একজন ও বিকেলে অপর একজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
ওই নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যূবরণকারী তিনজন হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (১৮), একই এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে শিমুল হোসেন (১৮) ও ঢাকা জেলার সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের হালিম মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৭)। তারা সবাই চলতি বছর এসএসসি পাস করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার সকালে রফিকুল ইসলাম কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা এলাকায় তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যান। বিকেলে তিনি মেহেদী, শিমুল এবং আরো দুই বন্ধুসহ মোট পাঁচজন মিলে একটি ছোট নৌকায় করে মকস বিলে ঘুরতে যান। ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের কারণে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন সাকিব হোসেন ও আরাফাত হোসেন। তবে মেহেদী, শিমুল ও রফিকুল পানিতে তলিয়ে যান।
পরে স্থানীয় লোকজন ও কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে রফিকুল ও বিকেল ৫টার দিকে শিমুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর আজ রোববার সকালে কচুরিপানার নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় মেহেদীর লাশ।
মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জানান, ‘মকস বিলে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মানুষ এখানে স্বস্তির জন্য ঘুরতে আসে। কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় এই রকম দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।’
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী বলেন, মকস বিলে নৌকা ডুবে তিনজন নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দুজনের লাশ শনিবার ও একজনের লাশ আজ রোববার উদ্ধার করা হয়েছে।