নাটোরের বড়াইগ্রামে নিখোঁজের তিন দিন পর সোহাগ হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মুখ থেঁতলানো ও ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগ্রান ফিলিং স্টেশনের পাশে ঝোপের মাঝ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহাগ উপজেলার চক বড়াইগ্রামের নাজমুল ইসলামের একমাত্র ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে আকাশ নামে এক প্রতিবেশী ট্রলি থেকে বালু নামানোর কাজের কথা বলে সোহাগকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর ভোরে আকাশ একাই বাড়ি ফিরে আসে। আকাশের কাছে জানতে চাইলে সোহাগ পরে আসবে বলে জানান তিনি।
কিন্তু দু’ দিনেও সোহাগ ফিরে না আসায় শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিহতের মা পারভীন বেগম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয়রা লাশটি মহাসড়কের ধারে পড়ে থাকতে দেখেন। তার মুখ ভারী কোনো বস্তুর আঘাতে থেঁতলানো ছিল।
পরে খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আকাশ পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম জানান, সাধারণ ডায়েরির পর থেকেই আমরা সোহাগ হোসেনকে উদ্ধারে তৎপর ছিলাম। কিন্তু আজ তার লাশ পাওয়া গেছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।



