ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শাহগঞ্জ বাজারে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত একটি গরু গোপনে জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা সরকার প্রমা জানান, নিষিদ্ধ মাংস বিক্রির খবরে বুধবার (২৩ জুলাই ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে দোকানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এসময় মাংস বিক্রেতা রানা আহম্মেদ পালিয়ে যান।
জানা গেছে, উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের সোলায়মান নামের এক কৃষক একটি শাহীওয়াল জাতের ষাঁড় গরু পালন করছিলেন। হঠাৎ গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: শিহাব উদ্দিন গিয়ে গরুটির অবস্থা দেখে নিশ্চিত করেন—এটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত। তখন তিনি গরুর মালিককে সতর্ক করে দেন, যেন গরুটি বিক্রি বা জবাই না করা হয় এবং গরুটি পৃথকভাবে রাখা হয়। কিন্তু ডাক্তারের কথা অমান্য করে সোলায়মান গোপনে সেই গরুটি শাহগঞ্জ বাজারের ‘বিসমিল্লাহ মাংস ঘরের’ মালিক রানা আহমেদ কদ্দুসের নিকট বিক্রি করে দেন।
রানা আহমেদ গরুটিকে জবাই করে ৭৮০ টাকা কেজি দরে গোশত বিক্রি শুরু করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা সরকার প্রমা’র নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে দোকানটি সিলগালা করে দেন।
গরুর মালিক সোলায়মান জানান, আমার গরু বাত রোগে আক্রান্ত ছিল, তাই পাইকারের কাছে বিক্রি করেছি।
গোশত বিক্রেতা রানা আহমেদ কদ্দুস জানান, গরু জলাতঙ্কে আক্রান্ত ছিল, সেটা জানতাম না। গরুর মালিক বলেছিলেন তিন দিন ধরে গরুটি খায় না। আমি ২৫ হাজার টাকায় গরুটি কিনেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব নিষেধ করায় গোশত বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।
ডা: শিহাব উদ্দিন জানান, ‘আমি গরুর মালিককে স্পষ্টভাবে জবাই না করতে বলেছিলাম। কিন্তু নিষেধ না মেনে গোপনে গরুটি জবাই করে বিক্রি করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেই।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা সরকার প্রমা বলেন, ‘অসুস্থ গরুর গোশত বিক্রির অভিযোগে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’