যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার ছোট আঁচড়া গ্রামে মিজানুর রহমান সর্দার (৪৩) নামে বিএনপির এক কর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ভোরে নিজ বাড়ির উঠানে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন।
নিহত মিজানুর রহমান সর্দার ছোট আঁচড়া গ্রামের হানিফ আলী সর্দারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মিজানুর বেনাপোল চেকপোস্টে একটি কসায়ের দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিন তিনি ভোরে উঠে ওই কাজে যান। শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখে যে কে বা কারা বাড়ির গেটের সামনের উঠানে তাকে গলা কেটে হত্যা করে রেখে গেছে।
নিহতের ভাই খায়রুল সরদার বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে কারো শত্রুতা ছিল না। রাত পৌনে ৩টার দিকে কে বা কারা তাকে ফোনে কল দিয়ে ডাকলে ভাই তার কাজে ব্যবহৃত ছুরি নিয়ে বাইরে বের হন। পরে দেখি গেটের ভেতরে তাকে গলা কেটে হত্যা করে চলে গেছে।
বেনাপোল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আহাদ হোসেন জানান, দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত মিজানুর রহমান আমাদের বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। আমার জানা মতে, তার সাথে কারো কোনো কলহ ছিল না।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, দুর্বৃত্তরা তাকে কেন গলা কেটে হত্যা করেছে তা তদন্ত না করে সম্ভব না। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। য়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।