বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, কোনো দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায় না চায়, আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, দেশের জনগণ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।’
আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে নড়াইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর লিডারশীপ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) জামায়াতে ইসলামী নতুন করে চায়ছে না। আমাদের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজম নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে দু’টি পদ্ধতির কথা বলে গেছেন। এর মধ্যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্যটি পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। বিগত নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তেমনি সবদলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিও প্রতিষ্ঠিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ইনশাল্লাহ। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পৃথিবীতে যতগুলো পদ্ধতি চালু আছে, তার মধ্যে পিআর পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ। ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে।
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিএনপি যেমন না-তে অনড়, জামায়াতে ইসলামীও হ্যাঁ-তে অনড় আছে। যখন পিআর বাস্তবায়ন হবে না, তখন কি করব তা বলব। আগে বলব কেন? কে অনড় থাকল, আর থাকল না, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরেছি। একটি সময় তত্ত্বাবধায়ক কেউ মানতে চাননি। বলেছেন, কেউ কী নিরপেক্ষ হয়? শেষপর্যন্ত ঘোলদুধ খেতে হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনেও জাতি পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে ইনশাল্লাহ।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে পেশিশক্তি, কালো টাকার প্রভাব ও মনোনয়নবাণিজ্য বন্ধ হবে। প্রতিটি ভোটের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। এখানে রাষ্ট্রপতির ভোটের যেভাবে মূল্যায়ন হবে, একজন রিকশাওয়ালার ভোটেরও সেই মূল্যায়ন হবে। পিআর পদ্ধতিতে কোয়ালিটি সম্পন্ন সংসদ তৈরি হবে।
নড়াইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর লিডারশীপ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মির্জা আশেক এলাহী, জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।