ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রসাশনের আয়োজনে ঈশ্বরগঞ্জে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ভূইয়া মনি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা হাসানুর রহমান সজীব ও সাকিবুজ্জামান সাকিব, ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: আব্দুল আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক সভাপতি ফেরদৌস কুরাইশী টিটু, জুলাই আন্দোলনে আহত সাংবাদিক রুহুল আমিন রিপন, সাংবাদিক মহিউদ্দিন রানা, এহসানুল হক, আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান শুভ, উবায়দুল্লাহ রুমি, হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
এস সময় জুলাই আন্দোলন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজু, জাহিদ হাসান, ইসতিয়াক আহমেদ ইসহাক ও হাবিবুর রহমান।
সাংবাদিকদের স্মৃতিচারণে উঠে আসে ৪ আগস্টে ঈশ্বরগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন ও হামলার ঘটনা। ওই দিন সাংবাদিকদের রক্তে লাল হয় ওঠে পিচঢালা রাজপথ। মারাত্মকভাবে আহত হন সাংবাদিক আতাউর রহমান ও রুহুল আমিন রিপন।
সভায় বক্তারা বলেন, আন্দোলন ডালপালা মেলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল এই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার। ছাত্ররা যখন বুঝতে পারল শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ দাবি আদায় তৎকালীন সরকার মেনে নেবে না, তখন তারা সারাদেশব্যাপী প্রোগ্রাম ও আন্দোলনের ডাক দেয়। আন্দোলনের ওই ডাক মিডিয়া কভারেজ পাওয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ফলে আন্দোলনটি সহজেই সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।