ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসায় মাত্র ১১ মাসে হাফেজ হয়েছেন নয় বছর বয়সী মো: শিহাব মাহমুদ।
দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় শিশুর পরিবার ও শিক্ষকরা আনন্দিত।
হাফেজ শিহাব সাংবাদিক মো: শহীদুল ইসলাম ও শিক্ষিকা মোসা: মাহমুদা আক্তার দম্পত্তির সন্তান। তাদের স্থায়ী ঠিকানা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বৌলপুর গ্রামে।
জানা গেছে, সাংবাদিক মো: শহীদুল ইসলামের এক ছেলে ও এক মেয়ে। হাফেজ শিহাবের জন্ম ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি। মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে শিহাবকে কাঁঠালিয়া সদরের কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। নাজেরানা বিভাগে পড়ার পর মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে হাফেজ শিহাব তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম
ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি এবং ইসলামের আদর্শ মনে-প্রাণে ধারণ করতে পারি।’
শিহাবের বাবা বলেন, ‘কোরআনের হাফেজ হয়ে শিহাব আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ছেলের মঙ্গলের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করেন।’
শিহাবের মা শিক্ষিকা মোসা: মাহমুদা আক্তার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ছেলে শিহাব মাহমুদ মাত্র ১১ মাসে হিফজ শেষ করেছে, এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’
শিহাবের মাদরাসার হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো: আব্দুল কাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাফেজদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘মাত্র নয় মাস নাজেরানা পড়ে হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে শিহাব। ছবক শুরু থেকে মাত্র ১১ মাসে কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। আমি আশা করছি, আন্তর্জাতিকভাবে কোরআনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদের মাদরাসা, পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে সে।’
কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: নুরুল আমিন আলম বলেন, ‘হাফেজ শিহাব মাহমুদের মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরো অনেকেই হাফেজ হতে পারে। আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।’