নৌকা বাইচে মেতে উঠলো উল্লাপাড়া

সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে জাতি গঠনের আহ্বান মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের

হাজার বছরের বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আবারও প্রাণ পেলো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া।

মো: জাকিরুল হাসান, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

Location :

Ullahpara
নৌকা বাইচে মেতে উঠলো উল্লাপাড়া
নৌকা বাইচে মেতে উঠলো উল্লাপাড়া |নয়া দিগন্ত

হাজার বছরের বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আবারও প্রাণ পেলো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া। উপজেলার সোনতালা করতোয়া নদীর বুকে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত ‘মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান পানসি নৌকা বাইচ উৎসব’ দেখতে নদীর দুই তীরে জড়ো হয় হাজারো উৎসুক জনতা। উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল ১৬টি নৌকার জমজমাট বাইচ প্রতিযোগিতা। এ উৎসব শুধু বিনোদনের নয়, বরং সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমে জাতি গঠনের এক মহৎ প্রয়াস হিসেবেই দেখছেন আয়োজক ও অতিথিরা।

সোমবার (৬ অক্টোবর) ফাইনাল বাইচের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের পর্দা নামে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘গ্রাম বাংলার মানুষের প্রাচীন ঐতিহ্য নৌকা বাইচ। এটি শুধু বিনোদন নয়, বরং সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যের প্রতীক। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা—সেখানে সুস্থ বিনোদনের অনুমতি রয়েছে। আজকের এই আয়োজন সেই সুস্থ বিনোদনেরই উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এর আয়োজন আরও বড় পরিসরে হলে আমি ইনশাআল্লাহ পাশে থাকব।’

মাওলান রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘উল্লাপাড়াকে একটি আধুনিক, মানবিক, চাঁদাবাজমুক্ত, সন্ত্রাসবাদমুক্ত, টেন্ডারবাজমুক্ত ও দখলদারমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই আমরা। এর জন্য জনসম্পৃক্ততা জরুরি। উল্লাপাড়াবাসীকে সাথে নিয়ে আমরা একটি উন্নত, মানবিক সমাজ গড়ব ইনশাআল্লাহ।’

উৎসবটির আয়োজক কমিটি জানায়, এবারের নৌকা বাইচে উল্লাপাড়া ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১৬টি দল অংশ নেয়। স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকেও অনেক দর্শনার্থী এই উৎসবে অংশ নিতে আসেন। করতোয়া নদীর তীরে দেখা যায় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। হাজারো দর্শনার্থীর করতালি ও উৎসাহে মুখর ছিল প্রতিটি বাইচ পর্ব।

উল্লাপাড়া উপজেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘নৌকা বাইচ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতি যা মানুষকে একত্রিত করে। এই আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে দেশের শিকড়ের সাথে পরিচিত করিয়ে দেবে।’