চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাময়িক স্থগিতাদেশের পরও উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে, যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। ছাত্রলীগ নেতা আটকের ঘটনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনায় অন্তত ১৩ জন ছাত্র ও তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার পর এই অবরোধ শুরু হয়।
মঙ্গলবার রাতে পটিয়া থানার কম্পাউন্ডে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটকের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে পুলিশের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতি শুরু হয়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ লাঠিচার্জ করে, যাতে আরও অন্তত ১০ জন ছাত্র আহত হয়। আহত ছাত্রদের মধ্যে রিদওয়ান সিদ্দিকী, তৌকির, তালহা, মাশরাফ, সাইফুল, শাহী, তায়েম, নাদিম, আয়াশ, সোহান, আকিল, ইরফান, রায়হান, সাইফুল, মুনতাসীর, মারুফ, মিহাদ, এবং তুর্কিসহ বেশ কয়েকজন পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘পটিয়ায় ব্লকেড’ কর্মসূচী পালন করে। পটিয়া বাইপাসের মডেল মসজিদের সামনে তারা অবস্থান নেয় এবং মহাসড়ক অবরোধ করে। আন্দোলনকারীরা দাবি করে, যতক্ষণ পর্যন্ত পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সেকেন্ড অফিসারকে অপসারণ না করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কর্মসূচী চালু থাকবে।
পটিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু জায়েদ মো: নাজমুন নূর নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, রাতে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের উপর কোনো আক্রমণ করা হয়নি। তিনি দাবি করেন, ছাত্ররাই উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং আটক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহবুবুল্লাহ জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও, তাদের দাবি পূরণ না হলে বৃহস্পতিবার পটিয়া ও চট্টগ্রামে আন্দোলন পুনরায় শুরু হবে।