পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার হাঁপানিয়ায় রামচন্দ্রপুর গ্রামে গর্ভধারিনী মাকে মারপিটের ঘটনায় ছেলে ও পুত্রবধূসহ পাঁচজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এর আগে মাকে মারপিটের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃদ্ধার মেয়ে আম্বিয়া খাতুন বাদি হয়ে রাতেই সাঁথিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০), পুত্রবধূ সোনালী খাতুন (৩৫), নজরুলের দুই শ্যালক টিপু মিয়া (২৫) ও মিনার হোসেন (৩০), শ্যালিকা মুর্শিদা খাতুন (২৮)।
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, বৃদ্ধ মাকে মারপিটের ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। এমন সব অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। গত রাতে মেয়ে আম্বিয়া খাতুন বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা করেছেন। রোববার (৩১ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজু তামান্না বলেন, মাকে মারপিটের ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয়রা সমস্যার সৃষ্টি করে। পরে সেনাবাহিনীর টিম সেখানে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে দেখা যায়, প্রথমে বৃদ্ধ শ্বাশুড়ি কাঞ্চন খাতুনকে (৭৫) পুত্রবধূ সোনালী মাটিতে ফেলে মারপিট করছে। দ্বিতীয় দফায় পুত্র নজরুল ইসলাম মাকে অনেকক্ষণ গলা টিপে ধরে। এক পর্যায় ছেলে মাকে তুলে মাটিতে আছাড় মেরে ফেলে দিয়ে লাথি মেরে হত্যার চেষ্টা করে। বৃদ্ধা মা চিৎকার করে কান্না করলেও ভিডিওতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। কমেন্টে তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছে।