সিলেটে ডেঙ্গু আতঙ্ক, অক্টোবরেই আক্রান্ত ১৩৬ জন

জনসচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
সিলেটে ডেঙ্গুর প্রকোপ, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
সিলেটে ডেঙ্গুর প্রকোপ, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। |নয়া দিগন্ত

সিলেটে ডেঙ্গু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একই সাথে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও। চলতি বছর সিলেট বিভাগে ৩১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত রোগীর প্রায় অর্ধেক সনাক্ত হয়েছেন গেলো অক্টোবর মাসে। এর মধ্যে এক রোগীর মৃত্যুও হয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৩১৯ জন। যদিও এ সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করছেন সচেতন মহল। সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ডেঙ্গু আক্রান্তের পরিসংখ্যান যথাযথভাবে সরবরাহ না করায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা পাচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে আক্রান্ত এ ৩১৯ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হবিগঞ্জে। সিলেটের এ জেলাতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ১৮১ জন।

এরপর সর্বোচ্চ আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন সিলেটে ৫৫ জন। আর সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে সনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪৮ ও ৩৫ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত সনাক্ত হওয়া ৩১৯ জনের মধ্যে গত অক্টোবর মাসে সনাক্ত হয়েছেন ১৩৬ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোববার সিলেট বিভাগের ছয়টি হাসপাতালে ২৭ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আটজন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঁচজন এবং সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মাউন্ট অ্যাডোরা হাসপাতালে একজন করে রোগী ভর্তি আছেন।

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: মো: আনিসুর রহমান বলেন, ‘সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন হবিগঞ্জে। ঢাকা থেকে সিলেট বিভাগের সবচেয়ে কাছের জেলা হবিগঞ্জ। তাই আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। সিলেট বিভাগের রোগীদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সিলেট আসার পর আলামত প্রকাশ পেয়েছে। এরপর পরীক্ষায় ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছে।’

জনসচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে কোনো অতিথি সিলেট আসলে তাকে অন্তত তিন রাত মশারির নিচে রাখা উচিত। এর মধ্যে জ্বর দেখা দিলে পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া বাসা-বাড়িতে পানিতে জমে যাতে এডিস মশা বাসা বাধতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সুনামগঞ্জে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনিও ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছিলেন বলে জানান তিনি।