বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চাই। তবে তার আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করেই সেই সনদের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন একটি দলের পকেটে ঢোকার চেষ্টা করছে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণহত্যার বিচার ও সংবিধানের মৌলিক সংস্কার ছাড়া যেনো তেনো নির্বাচন দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তবে দেশের মানুষ আওয়ামী স্টাইলের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।’
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগর কার্যালয়ে থানা দায়িত্বশীল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেছে। এই হত্যার সাথে জড়িত বিচারক, আইনজীবী, সাক্ষীসহ সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও গ্রেফতার করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষ বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু তার চারপাশে ফ্যাসিবাদের দোসর ও ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা সরকারকে বিভ্রান্ত করছে এবং একটি দলের পকেটে ঢুকিয়ে দিতে চক্রান্ত করছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। কালো টাকা, সন্ত্রাস, ব্যালট বাক্স ছিনতাই প্রতিরোধ ও সবার ভোটের মূল্যায়নের জন্য পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে ও রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের সঞ্চালনায় সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির ও রাজশাহী সদর আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডাক্তার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এবং বিভিন্ন থানার আমির-সেক্রেটারিরা।