মাঠে ফিরেই মুগ্ধতা ছড়ালেন লিওনেল মেসি, গোলাপি জার্সিতে আবারো জাদু দেখালেন তিনি। করলেন জোড়া গোল, দলকে তুললেন লিগস কাপের ফাইনালে। আরো একটা শিরোপার কাছে ইন্টার মায়ামি।
বৃহস্পতিবার চেজ স্টেডিয়ামে লিগস কাপের সেমিফাইনালে অরল্যান্ডো সিটির মুখোমুখি হয় ইন্টার মায়ামি। যেখানে মেসির জোড়া গোলে ৩-১ গোলে জয় পায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি।
চোটের কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালসহ মায়ামির সর্বশেষ দু’টি ম্যাচে মেসি খেলতে পারেননি। তবে বৃহস্পতিবার তাকে নিয়েই সেমিফাইনালে নামে মায়ামি। সাথে ছিলে জর্দি আলবাও।
এদিন বল দখলেও মায়ামির আধিপত্য ছিল। ৫৯ শতাংশ পজেশনের সাথে ১৪ শট নিয়ে তারা ছয়টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বিপরীতে ১১ শটের চারটি লক্ষ্যে ছিল অরল্যান্ডোর।
অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না মায়ামির। প্রথমে গোল হজম করে দলটা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে, মারকো পাসালিচ ১৮ গজ দূর থেকে নেয়া শটে বল জালে জড়ান। এগিয়ে যায় অরল্যান্ডো।
মায়ামি খেলায় ফিরেছে ৭৫ মিনিটে, পেনাল্টি থেকে। উইঙ্গার তাদেও আয়েন্দেকে নিজেদের বক্সে ফেলে দেন অরল্যান্ডো লেফট ব্যাক ডেভিড ব্রেকালো। শাস্তি হিসেবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রেকালোকে।
আর অরল্যান্ডো হজম করে পেনাল্টি। গোলকিপারের বাঁ পাশের পোস্টঘেঁষা শটে গোল করেন মেসি। পরের গোলটিও তার। ৮৮তম মিনিটে সতীর্থ জর্দি আলবার সাথে বল দেয়া-নেয়ার পর কোণাকুণি শট নেন মেসি। অরল্যান্ডো গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি।
মায়ামির হয়ে এ বছর মেসির গোলসংখ্যা হলো ৩৩ ম্যাচে ২৭টি।
এদিকে প্রতিপক্ষের একজন কম থাকার সুবিধা নিয়ে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মায়ামির তৃতীয় গোলটি করেন সেগোভিয়া। সুয়ারেজের সহায়তায় আসে এই গোল।
৩-১ গোলের এই জয় লিগস কাপের ফাইনালের পাশাপাশি ২০২৬ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপেও জায়গা নিশ্চিত করেছে মায়ামি। ৩১ আগস্ট লিগস কাপের ফাইনালে মেসি-সুয়ারেজদের প্রতিপক্ষ এলএ গ্যালাক্সি কিংবা সিয়েটল সাউন্ডার্স এফসি।