কয়েক দফা পতাকা বৈঠকের পর অবশেষে সিলেট সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত যুবক আব্দুর রহমানের (৩০) লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (১ সেপ্টম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে আন্তর্জাতিক পিলার ১৩৩৯ সংলগ্ন এলাকায় বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
আজ মঙ্গলবার কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আব্দুল আউয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকেই বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্তে লাশ ফেরতের অপেক্ষায় ছিলেন। গভীর রাতে মেঘালয় পুলিশ বাক্সবন্দী লাশ নিয়ে সীমান্তে পৌঁছালে পতাকা বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিজিবির উপস্থিতিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ লাশ গ্রহণ করে। পরে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তা নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সীমান্তের ১৩৩৮-৩৯ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে বিএসএফ গুলি চালায়। এতে কানাইঘাট বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মরহুম খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি আরো কয়েকজনের সাথে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মহিষ কিনে ফেরার পথে বিএসএফ-এর গুলির শিকার হন। গুলিতে আহত অন্যরা কোনোভাবে বাংলাদেশে ফিরে এলেও আব্দুর রহমানের লাশ সীমান্তে পড়ে থাকে। শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
ঘটনার পর বিজিবি ডোনা ক্যাম্প থেকে বিএসএফ-এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে লাশ ফেরতের দাবি জানানো হয়। কয়েক দফা আলোচনা শেষে নিহত হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।