জুলাই শহীদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান

‘বাংলাদেশ কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। এটি ১৮ কোটি মানুষের দেশ, এ দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে জনগণ।’

মো: জাকিরুল হাসান, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

Location :

Ullahpara
সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে হবে। আহত ও পঙ্গুদের পুনর্বাসন করতে হবে, শহীদ পরিবার থেকে অন্তত একজনকে সরকারি চাকরি দিতে হবে।’

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াত ইসলামী আয়োজিত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত গণমিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ছাত্র-জনতা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিল ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, নব্য ফ্যাসিস্টকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, এবং নৈরাজ্য বেড়েই চলছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার। আগে রাষ্ট্র সংস্কার, পরে নির্বাচন।’

জামায়াত-শিবিরকে যারা বাংলাদেশ ছাড়ার স্লোগান দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। এটি ১৮ কোটি মানুষের দেশ, এ দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে জনগণ। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন, যারা জামায়াত-শিবিরকে বাংলা ছাড়তে বলেছিল, তারা আজ কোথায়?’

এ সময় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা অফিস সম্পাদক আব্দুল বারী।

এ সময় আরো বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলম, উপজেলা সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, সলঙ্গা থানা জামায়াতের আমির রাশেদুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা নায়েবে আমির ডা: নজরুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাদ এবং উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম মুত্তালিব প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শ্যামলী পাড়া, কাওয়াক হয়ে গুলিস্তানে গিয়ে শেষ হয়।