যশোরে সংসদীয় সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিএনপির নির্বাচন অফিস ঘেরাও

সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, নির্বাচন অফিস ঘেরাও ও সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি।

এম আইউব, যশোর অফিস

Location :

Jashore
সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি
সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি |নয়া দিগন্ত

যশোরে সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, নির্বাচন অফিস ঘেরাও ও সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। এ সময় ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে ওই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান নেতারা।

বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে যশোর-৩ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে স্পষ্ট করেছেন। নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপামর জনসাধারণ ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে সংসদ নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। ঠিক এমন সময় একটি মহল দীর্ঘদিনের ইতিহাস ঐতিহ্যের বিচ্যুতি ঘটিয়ে যশোরের সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা করছে। জেলা বিএনপি সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের যেকোনো চেষ্টার বিরোধিতা করে।

আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর বর্তমান অবস্থার ওপর ভিত্তি করেই যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়েছে। শুধু ২০০৮ সালের অনির্বাচিত সরকারের সময়ই এর ব্যত্যয় ঘটানো হয়। আবার সেই অবস্থায় ফেরানোর চক্রান্ত হচ্ছে। মূলত, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বিরোধী কোনো পরিবর্তন মেনে নেয়া হবে না। এর বিপক্ষে বিএনপি রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে অবস্থান নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চুসহ জেলা বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি, জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও করে। পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।