লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা এদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে চাই।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ( ১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় লৌহজং উপজেলার গোয়ালী মান্দ্রায় মুক্তিযুদ্ধ বিজয় স্তম্ভে বীর শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে দেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লড়াই-সংগ্রাম আরো বেগবান হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে দেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লড়াই-সংগ্রাম আরো বেগবান হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দলের কর্মী-সমর্থক ও আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিন থেকে সরাসরি ও প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যদিও তিনি বিগত বছরগুলো ধরে নিরলসভাবে আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি তারেক রহমানের দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উম্মেষ ঘটতে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে দেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লড়াই-সংগ্রাম আরো বেগবান হবে। আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণ করতে পারবো।
ড. রিপন বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর এ দেশের জনগণ একটি নির্বাচন থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতোদিন তারা নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। এতোদিন দেশে একটি স্বৈরশাসন জেঁকে বসেছিলো। এই স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছে অসংখ্য ওসমান হাদির মতো তরুণেরা আর এদেশের আপামর জনসাধারণ।
তিনি আরো বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যেতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: শাহ আলম রনি মৃধা, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আতাউর রহমান খান, উপজেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন নসু, মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি শেখ সোলায়মান তপু, শেখ মাসুদসহ দলীয় অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।



