রংপুর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বেতন-বোনাস আদায়

আন্দোলনের কারণে সকাল থেকেই সিটি করপোরেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

Location :

Rangpur Sadar
বেতন-বোনাস আদায়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে কর্মচারীরা।
বেতন-বোনাস আদায়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে কর্মচারীরা। |ছবি : নয়া দিগন্ত

রংপুর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বেতন-বোনাস আদায় করে নিয়েছে কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টায় সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় কর্মচারীরা। এর আগে সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে তারা।

জানা যায়, বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে প্রধান নির্বাহী ও হিসাব রক্ষণ দফতর অবরুদ্ধ করে রাখার তিন ঘণ্টা পর দাবি মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের কারণে সকাল থেকেই সিটি করপোরেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতেমা এবং প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে কর্মচারীরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার ২৩ তারিখের মধ্যে মার্চ মাসের বেতনসহ বোনাস দেয়ার নির্দেশ দিলেও সিটি প্রশাসক তা দিচ্ছেন না। ঈদের আগে বেতন বোনাস না পেলে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবেন। এ কারণে বেতন বোনাস দেয়ার দাবিতেই তাদের এই আন্দোলন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওযার ঘোষণা দেন তারা

এদিকে কর্মচারীরা কাজে না ফেরায় সকাল থেকে কোনো সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বিভিন্ন টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিশু সন্তান নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। পরে বেলা ৩টায় সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বেতন বোনাসের ফাইলে সই করেন। পরে তারা আন্দোলন তুলে নেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বাজার সহকারী সুজাউদ্দৌলা জানান, বিগত বছরগুলোতে তারা বেতনের সাথে বোনাস পেয়ে আসছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছেন। সরকার নির্দেশ দিলেও মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দিতে তিনি টালবাহনা করছিলেন। অবেশেষে আমরা আন্দোলনে নামার পর বিকেল ৩টায় তিনি বেতন-বোনাসের ফাইলে সই করেন।

ফেরদৌসি নামের এক মাস্টাররোলের কর্মচারী জানান, আমরা মুসলিম। আমাদের মুসলিম কান্ট্রি। অথচ আমাদের বেতন বোনাসের জন্য আন্দোলন করতে হলো এটা খুব দুঃখের। আমরা প্রায় হাজার খানেক মাস্টার ও ডেইলি পেমেন্ট কর্মচারী আছি।

সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার মো: শহিদুল ইসলাম জানান, আলোচনার মাধ্যমে তাদের বেতন বোনাসে আমি সই করেছি। আগামী রোববার থেকে তারা বেতন বোনাস পেয়ে যাবেন।