সিলেটের জৈন্তাপুরে নাতির ছোড়া ইটের আঘাতে ৯০ বছর বয়সী নানি আজিবুন নেছা (৯০) মারা গেছেন।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাঠেরচটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আজিবুন নেছা (৯০) চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাঠেরচটি গ্রামের মরহুম সাজ্জাদ আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় নাতি সুমন আহমেদকে (২২) আটক করেছে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছোটবেলায় সুমনের মা-বাবা মারা যায় তখন থেকে আজিবুন নেছার কাছে বড় হয় সে। চার মাস আগে তার মানসিক সমস্যা দেখা দিলে নানী তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করান। চিকিৎসর উন্নতি না হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সুমন যে ঘরে শিকলবন্দী হয়ে থাকতেন। পাশের একটি বিছানায় ঘুমাতেন নানী আজিবুন নেছা। রাতে হঠাৎ সুমনের চিৎকার শুনে পাশের ঘরের লোকজন ছুটে এসে দেখেন আজিবুন নেছার রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। পাশে বসে থাকা সুমন তখন কাঁদছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘হত্যার খবর পেয়ে আমি নিজে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ঘটনাস্থলে গিয়ে নাতি সুমনকে নিহত নাতীর লাশের পাশে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। এ বিষয়ে সুমনের মাঝে কোনো অনুশোচনা লক্ষ করা যায়নি। সে শুধু তার শিকল খুলে দেয়ার জন্য চিৎকার করছিল।
তিনি আরো জানান, হত্যার ঘটনায় পুলিশ সুমন আহমেদকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে হত্যা মামলা হয়েছে। রোববার পুলিশ পাহাড়ায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নিহত আজিবুন নেছার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



