ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তার শ্বশুরবাড়িতে নেমে এসেছে গভীর শোক ও উৎকণ্ঠা। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতাবপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুবেদার সুলতান আহমেদের বাড়িতে যেন থামছেই না কান্নার শব্দ। কান্নায় যেন ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ।
জানা যায়, শরিফ ওসমান হাদি ২০২০ সালে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুবেদার সুলতান আহমেদের মেয়ে রাবেয়া শম্পাকে বিয়ে করেন। ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
শরিফ ওসমান হাদির শ্বশুর সুলতান আহমেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘তার জামাই কখনো মিথ্যা বলতেন না এবং অন্যায়ের সাথে আপস করতেন না। তিনি ছিলেন একজন প্রতিবাদী মানুষ।’
তার দাবি, শরিফ ওসমান হাদি যদি ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ না নিতেন তাহলে এ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটত না।
পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা তার ওপর গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শরিফ ওসমান হাদির শ্বশুর সুলতান আহমেদ দেশবাসীর কাছে তার জামাইয়ের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে গুলিবিদ্ধের খবর পাওয়ার পর হাদির শাশুড়ি শাহানাজ বেগম ও শালা কাইয়ুম হোসেন ঢাকায় রওনা হন। এর আগে প্রতিবেশীরা শ্বশুরবাড়িতে ছুটে এসে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়।



