সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, লামাবাজার, তালতলা, আম্বরখানা ও চৌহাট্টাসহ নগরীর সব গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল সড়কে দিন বা রাতের যেকোনো সময় হকারি বা অস্থায়ী দোকান বসানো যাবে না।
আজ রোববার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সিলেট নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে হকারদের দখলদারিত্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকরা যে দুর্ভোগে ভুগছেন, সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় অবশেষে কঠোর অবস্থান নিলো জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, নির্দেশ অমান্য করে কেউ যদি নির্ধারিত এলাকায় হকারি কার্যক্রম চালান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, নগরবাসীর নির্বিঘ্ন চলাচল, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং পরিচ্ছন্ন নগর পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, প্রশাসনের এ প্রচেষ্টায় যদি সবাই অংশ নেন, তাহলে সিলেট আরো বাসযোগ্য ও সৌন্দর্যমণ্ডিত শহরে রূপ নিতে পারবে।
তিনি জানান, লালদীঘির পাড় মাঠে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাইকে সেখানে চলে যেতে হবে। নগরের ব্যস্ততম এলাকার সড়কে হকারদের বসতে দেয়া হবে না। বসলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) পক্ষ থেকেও রাস্তা ও ফুটপাতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কর্মকাণ্ড ঘটলে তাদের বিরুদ্ধ ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে রাখা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও এসএমপি মিলে ফুটপাত মুক্ত রাখতে নগরীতে অভিযানে থাকবে। তাদের সহায়তায় র্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে একটি ইউনিট নগরীতে মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে।
সিলেটে নবাগত জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম যোগদানের পর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ নেন। সিটি করপোরেশন ও এসএমপির সহযোগিতায় তিনি সিটি করপোরেশনের পাশে লালদীঘির পাড় মাঠে হকার পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
আজ থেকে নগরের কয়েক হাজার হকার লালদিঘীর পাড়ে গিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করবেন বলে আশা করছেন জেলা প্রশাসক।
হকারদের বসার জন্য লালদিঘীর পাড়ে মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে। প্রবেশ সহজ করার জন্য সেখানে দু’দিকের রাস্তার পরিসর বাড়ানো হয়েছে।



