জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম টিম অঞ্চল সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভুঁইয়া বলেছেন, ‘জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল দাবি জানিয়ে আসছে। সারাদেশের জনগণ জুলাই সনদের আলোকে নির্বাচন দেয়ার সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের দিন গণভোট দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে তামাশা করছে। জুলাই সনদ কার্যকরে আইনগত ভিত্তি দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অবিলম্বে গণভোট দিন। একইসাথে ৮ দলের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করুন।’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে (শিকলবাহা ক্রসিং) অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আহসানুল্লাহ ভুঁইয়া বলেন, ‘নভেম্বরে অবশ্যই গণভোট দিতে হবে। জুলাই সনদের আইনের ভিত্তি বাস্তবায়নে গণভোটের কোনো বিকল্প নেই। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই গণভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যারা আগে এর বিরোধিতা করেছিল তারাও এখন গণভোটের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হলো পতিত স্বৈরাচারের সব ধরনের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। এ দেশে আর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান হবে না। যারা তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন তারা সচেতন হোন। কারণ, তাদের হাতে হাজার হাজার মানুষের রক্ত লেগে আছে। জুলাই বিপ্লব ও বিডিআর বিদ্রোহসহ একাধিক গণহত্যার দায় তাদের ওপরই বর্তায়।’
এদিকে বিক্ষোভ মিছিলটি ক্রসিং থেকে শুরু হয়ে মইজ্যার টেক এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হক্কানী, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, জেলা শিবিরের সেক্রেটারি ফরমানুর রহমান জাহিন, আনোয়ারা উপজেলা আমির মাস্টার আবদুল গণি, পটিয়া উপজেলা আমির জসিম উদ্দীন, কর্ণফুলী উপজেলা আমির মনির আবছার চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।