রেজাই রাফিন সরকার

বিনামূল্যে টিকা গ্রহণের সুযোগে টাইফয়েড থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে

‘সরকারের বিনামূল্যে টিকা গ্রহণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে টাইফয়েড থেকে আমাদের শিশুদের রক্ষা করতে হবে।’

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
সিলেট সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার
সিলেট সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার |নয়া দিগন্ত

সিলেট সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেছেন, ‘সরকারের বিনামূল্যে টিকা গ্রহণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে টাইফয়েড থেকে আমাদের শিশুদের রক্ষা করতে হবে।’

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) টাইফয়েডের টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে নগর ভবনে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ, যেখানে স্বাস্থ্যবিধি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত নয়, সেখানে টাইফয়েড বেশি দেখা যায়। এই রোগ থেকে বাঁচতে টিকা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।’

আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারা দেশের মতো সিলেট মহানগরীতেও টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV) ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড হেল্থ প্রোগ্রামের আওতায় মাসব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচিতে মহানগরীর ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি/সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।

রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ‘অনেকের মাঝে ভুল ধারণা আছে যে, টিকা নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিগত দিনে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়াকে কেন্দ্র করেও নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়। এর ফলে লোকজন অযথাই আতঙ্কিত হন। এই গুজব প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। আপনাদের অবগতির জন্য বলতে চাই, টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। ইতিপূর্বে নেপাল ও পাকিস্তানে এর শতভাগ সফল প্রয়োগ হয়েছে। তাই ভয়ের কোনো কারণ নেই। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, সকল তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। ঘরে বসে গুগলে সার্চ করলে এই টিকা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।’

টিকাদান কর্মসূচি উপলক্ষে সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) বিভিন্ন সরকারি দফতর, মসজিদের ইমাম ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সিসিকের ইপিআই টিকা কেন্দ্র ছাড়াও টাইফয়েড ভ্যাকসিনের জন্য নগরীতে চারটি স্থায়ী টিকা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত পুরো এক মাস এসব টিকা কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। ছিন্নমূল ও পথশিশু যাদের জন্মনিবন্ধন নেই, তাদেরও টিকা দেয়া হবে। যাদের জন্মসনদ নেই তারা শুধু একবারই ভ্যাকসিন সনদ পাবে। আর নিবন্ধিতরা যখন প্রয়োজন তখনই অনলাইন থেকে ভ্যাকসিন সনদ ডাউনলোড করতে পারবেন।

সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা: সুফী মো: খালিদ বিন লুৎফর।

অবহিতকরণ সভায় আরো বক্তব্য দেন, সিসিকের সচিব মো: আশিক নূর, সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত এরশেদ, সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আলী ফরিদ আহমেদ, সিলেট বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সহকারী পরিচালক আবুল মনসুর আসজাদ, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (রেজিস্ট্রেশন) জনি রঞ্জন দে, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেটের সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার তোফায়েল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।