হাওরাঞ্চলের পর্যটন এলাকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিকলীর সদর এলাকা দিয়ে প্রবেশের অন্যতম সরু রাস্তা। প্রচন্ড রোদ ভ্যাপাসা গরমে আটকা পড়ে আছে ট্রাকভর্তি গবাদিপশু। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দুর্ঘটনার! নগরের অপরিকল্পিত রাস্তাই পর্যটকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যায়।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরের দিকে চরম ভোগান্তির দৃশ্য চোখে পড়ে কিশোরগঞ্জের একাধিক হাওরের পর্যটন স্থানে দক্ষিণ দিক থেকে আসা সকল প্রকারের গাড়ির চালক ও যাত্রীদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
হাওর এলাকায় বর্ষার পানি বাড়ার সাথে সাথেই উপচেপড়া ভিড় দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের মাঝে। তবে বুধবার দুপুরের দিকে চরম পর্যায়ের ভোগান্তির দৃশ্য চোখে পড়ে জেলার সর্ব বৃহৎ গরুর হাট উপলক্ষে হাওরের উত্তর দিকে গরু বোঝাই করা টাকের সাথে দক্ষিণ দিকের একাধিক রাস্তা দিয়ে আসা পর্যটকদের গাড়ির মুখোমুখি অতিক্রমের বিষয়ে। এর ফলে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজটের। ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে সারি সারি গাড়িকেও। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ চালক ও যাত্রীদের পাশাপাশি গরু-ছাগল ও মহিষগুলোকে গাড়িতেই হাঁপাতে দেখা গেছে। বিপাকে পড়েছে রাস্তার পাশের দোকানী এবং স্থানীয় পথিকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রোদারপুড্ডা চৌরাস্তা মোড় থেকে শুরু করে নিকলী সদর পর্যন্ত এ ধরণের ভিড়ের চিত্র। স্থানীয় আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকাদেরকেও এই বিষয়ে ফোন করে জানানো হয়েছে যানজট নিরসনের লক্ষে। স্থানীয় অসংখ্য জনগণ যানজট নিরসনে এগিয়ে এলেও অপরিকল্পিত সরু রাস্তার ফলে ব্যর্থতারই পরিচয় দিচ্ছে। শুধু নিকলী সদর এলাকাতেই এই অবস্থা নয় বরং আশেপাশের নিকলী টু বাজিতপুর এবং সীমান্তবর্তী কটিয়াদী এলাকার করগাঁও থেকে শুরু করে আঞ্চলিক মহাসড়ক পর্যন্ত এই করুন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও এখানকার সড়ক ও জনপদের রাস্তার নিম্নমানের কাজের ফলে অনেকাংশে ভাঙ্গনের দৃশ্যতো চোখে পড়ার মতোই। বেহাল দশাও এসব রাস্তার যানজট তৈরি এবং ভোগান্তির জন্যে অনেকাংশে দায়ী বলে উল্লেখ করেন স্থানীয়রা।
পর্যটকদেরকে বলতে শোনা যাচ্ছে প্রবেশ পথের এসব রাস্তা যদি অচিরেই মেরামত না করা হয় তাহলে পর্যটক বিমুখ হবে। এছাড়াও ভোগান্তির কারণে গরু বেপারীদেরকে বলতে শোনা যাচ্ছে- এ অবস্থা দীর্ঘ সময় ধরে হলে তাদের গরু হিটস্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করেছেন।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আরিফ উদ্দিনের সাথে এই বিষয়ে কথা হলে তিনি যানজটের বিষয়টি দেখবেন বলেও উল্লেখ করেন।
পর্যটন এলাকার অপরিকল্পিত সড়ক ও জনপদের রাস্তার বিষয়ে নিকলী উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এবং নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা মজুমদার মুক্তির সাথে মোবাইল ফোনে বুধবার দুপুরে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কাউকেই পাওয়া যায়নি।