রাঙ্গামাটিতে টানা ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের কারণে পর্যটকরা আটকা পড়েছে। পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল। বন্ধ হয়ে গেছে রাঙ্গামাটি-সাজেক সড়কের যোগাযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাপ্তাই হ্রদ থেকে দেড় ফুট করে পানি ছাড়ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
রাঙ্গামাটিতে টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে নদী ও কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে রাঙ্গামাটি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটি শহরের লেক তীরবর্তী এলাকায় ঢুকে পড়েছে পানি। এতে করে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পানিবৃদ্ধির প্রভাবে বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সাজেকে আটকে পড়েছেন প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় পর্যটকদের বাঁশের ভেলা ও নৌকার মাধ্যমে পারাপার করা হচ্ছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানিয়েছেন, পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানির চাপ কমাতে ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট পর্যন্ত খুলে দেয়া হয়েছে। এতে প্রতিসেকেন্ডে প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিস্কাশন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রয়েছে, যার মাধ্যমে বর্তমানে ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
রাঙ্গামাটিতে পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে প্রশাসন। তবে পরিস্থিতি আরো অবনতি হলে বড় ধরনের দুর্যোগ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।